টাইমস অফ কলকাতা ডেস্ক– রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে দুই মেয়েকে শিক্ষকতার চাকরি পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে আরামবাগ পঞ্চায়েত সমিতি সভাপতি গুণধর খাঁড়ার বিরুদ্ধে। আজ পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ জানিয়ে দিল, ওই দুজন মামলার মাধ্যমে বৈধ পথেই চাকরি পেয়েছেন। আদালতের নির্দেশেই তাঁদের চাকরি হয়েছে। এই ব্যাপারে কলকাতা হাইকোর্টে একটি পিটিশন [রিট পিটিশন নম্বর- 24882(w) of 2016] দায়ের করেছিলেন রীতা হালদার নামে এক প্রার্থী। সেই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি দীপঙ্কর দত্তের নির্দেশের পরিপ্রেক্ষিতে স্কুলে চাকরি পান গুণধরবাবুর দুই মেয়ে।
বুধবার আদালতে শুনানির সময় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের পক্ষ থেকে একটি রিপোর্ট পেশ করা হয়। তাতে বলা হয়েছে, পিটিশনাররা পুরোপুরি বৈধ। এরপর কিছুক্ষণ চুপ করে থাকেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এরপর পর্ষদের আইনজীবী লাকি গুপ্ত বলেন, রঞ্জন বা চন্দন মণ্ডলকে নিয়ে সিবিআই হলে হোক। বিচারপতি তখন সিবিআইকে সিট গঠন করার নির্দেশ দেন। গত ১৩ জুনের নির্দেশ জারি থেকে আজ অবধি যাঁরা নতুন করে পিটিশন দাখিল করেছেন, তাঁদের রিপোর্ট জমা করেছে পর্ষদ। সূত্রের খবর, মোট ৩৩ জন নতুন করে পিটিশন দাখিল করেছেন। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের পক্ষ থেকে রিপোর্টে এঁদের সকলের বৈধতার উল্লেখ করা হয়েছে। যাঁদের মধ্যে গুণধরবাবুর দুই কন্যা।
এ প্রসঙ্গে গুণধরবাবু বলেন, “আমার মেয়েদের নিয়োগের ক্ষেত্রে যে বেআইনি কিছু হয়নি, তা আজ আবার প্রমাণিত হয়ে গেল। আগেও বলেছি, আবার বলছি, আইনের পথে মামলা করেই আমার মেয়েদের চাকরি হয়েছে।” এ নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় নানা ধরনের বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
সম্প্রতি হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ২০১৪ সালের প্রাথমিক টেট-এ দুর্নীতি মামলায় দ্বিতীয় নিয়োগ তালিকায় থাকা ২৬৯ জনকে বরখাস্তের নির্দেশ জারি করেন। এঁদেরকে বেআইনিভাবে বাড়তি ১ নম্বর করে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। এই তালিকায় রয়েছেন গুণধরবাবুর দুই কন্যাও।
দেখে নিন কোর্টের সেই শুনানির কপি…>> High Court ক্লিক করে…